ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

পটিয়া বাস দূর্ঘটনায় চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ, স্ত্রী ও জামাতা নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
পটিয়ায় দুইটি বাসের মুখোমূখী সংঘর্ষে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ (৭৫) তার স্ত্রী শিক্ষিকা বাসন্তী দাশ (৫৩) ও মেয়ের জামাতা শিবাকর দাশ (৪০) সহ তিন বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের মৃত শশী কুমার দাশের পুত্র। ১৫জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা স্কুলের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা হানিফ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী চেয়ারকোচ পটিয়ার লড়িহরা স্কুলের সামনে পৌছলে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়ায় যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসের (চট্টমেট্রো চ-১১-১৪৪১) মুখোমূখী সংর্ঘষ হয়। ওইসময় শিক্ষক দম্পতি ঘটনাস্থলে নিহন হন। জামাতা শিবাকর দাশকে মুমর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার বাবলু দাশ বলেন, নিহতরা হলেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হৃদয় রঞ্জন দাশ (৭৫) তার স্ত্রী শিক্ষিকা বাসন্তী দাশ (৫৩) ও মেয়ের জামাতা শিবাকর দাশ (৪০)। আহতরা হলেন সুমন (২০), রূপন ভট্টচার্য্য (৪৫), শিখা শীল (৩৭), আরিফ (২৫), আবু তাহের (৬২), নাজমুল জান্নাত (৫০), নওশীন জান্নাত (১৭), ঝর্ণা চক্রবর্ত্তী (৪৪), ফরমান উদ্দিন (৩০), সীফাত (১৮), নাজিম উদ্দিন (২৪), শহীদুল ইসলাম (৪০), দিদারুল আলম (২৫), শিখা কর (৫৫), মনির আহমদ (৬৫), ছৈয়দুল আলম (৪৫), সমাপ্তী (৬), তপন মিত্র (১৯), আবুল হোসেন (৫৫)। তাদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পটিয়া-ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ যাত্রীবাহী বাস দু’টি তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। হাইওয়ে পুলিশের পটিয়া-ক্রসিং এর ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করেছেন এবং বাস দু’টি আটক করেন।

পাঠকের মতামত: